কর্মক্ষেত্রে সফলতার ১০ টি উপায়

কর্মক্ষেত্রে সফলতা, এই ধারনাটা আমারা অনেকেই গভীর ভাবে চিন্তা করি না। কিন্তু আপনি কি জানেন, জীবনের এক তৃতীয়াংশ আমরা এমন কিছু করে কাটিয়ে দিই যেটা করতে আমাদের ভালো লাগে না?

আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে একজন সাধারণ মানুষ তার অস্তিত্বের ৯০,০০০ ঘন্টা জীবিকা অর্জনের পিছে ব্যয় করে। তাহলে আজকেই সিদ্ধান্ত নিন, কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য কতোটুক ভাবতে হবে।

আরো আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী করা এক জরিপে দেখা গেছে,  ৪৫% মানুষ জীবিকা অর্জনের জন্য করা চাকরীটাকে আসলে পছন্দ করে না।

এটা থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, যতোসম্ভব আমরা আমাদের জীবনের বিশাল এক অংশ অপচয় করছি। এবং সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, শুরুতে আমরা আমাদের কাজটাকে পছন্দ করেছিলাম।

আরও পড়ুনঃ

কিন্তু সময়ের সাথে আমরা সেই ভালো লাগাকে হারিয়ে যেতে দিই। নিজেদের অনাগ্রহের কারণে আমরা রাগী বস, বিরক্তিকর সহকর্মী, এমনকি জনাকীর্ণ বসার ডেস্কটাকেও দোষ দেওয়া শুরু করি।

যেখানে সত্যটা হচ্ছে, আমরা ইচ্ছেটা হারিয়ে ফেলেছি। ভুলভাবে কাজ করার ফলে আমরা নিজেদের আগ্রহটা হারিয়ে ফেলে সেটাকে চারপাশের নেগেটিভিটির মধ্যে সমাহিত করে ফেলেছি।

তাহলে আমারা কীসে ভুল করেছি? যতোসম্ভব, সবকিছুতে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমরা এখন জন্য কী করতে পারি?

বেশিভাগ মানুষের ক্ষেত্রে নতুন করে শুরু করা সম্ভব না। না, সেটা যতোই লোভনীয় মনে হোক না কেন, আমরা মুখ গোমড়া করে নিজেদের জীবনের সেরা মুহুর্ত গুলোকে নষ্ট হতে দিব না। ভাবে হবে এবং কাজ করতে হবে গভীর ভাবে যেন কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার পথ সহজ হয়।

১০ টি অভ্যাসে নিজেকে বদলে নিন, কর্মক্ষেত্রে সফল হোন

তার বদলে, আসুন কিছু সিক্রেট নিয়ে কথা বলি যেগুলো কর্মক্ষেত্রে সফলতা এনে দিতে পারে।

“খুব দেরি হয়ে গেছে” বলে কিছু নেই, তাই চলুন আমরা সেই সব সহজ কৌশলের উপর আলোকপাত করি যা আপনাকে রোজ সকালে কাজে ফিরে যেতে অনুপ্রেরণা দিবে, তবে যদি আপনি নাইট শিফটে কাজ করেন তাহলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার।

১) রুটিন:

রুটিন এসেছে ফরাসি শব্দ ‘route’ থেকে যার আক্ষরিক অর্থ পথ এবং এই পথ শব্দটাই রুটিনের প্রকৃত অর্থ। এটা সেই পথ যা জীবনে কোথাও পৌঁছানোর জন্য আমরা নিয়ে থাকি।

এটা একটা দরজা যেটা অনেক সম্ভাবনার কাছে আমাদের নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দরজাটা সঠিক সময়ে খুলতে জানতে হবে।

একটা ভালো রুটিন যেটাতে সঠিকভাবে সময় বন্টন করে দেওয়া থাকে, এমন একটা রুটিন আমাদের পুরো জীবনকে পালটে দিতে সক্ষম।

কাজের চাপ ও উদ্বেগ কমানোর বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকারী পদ্ধতির একটা হচ্ছে রুটিন।

কাজ করার একটা পূর্বপরিকল্পিত গঠনপ্রণালী থাকলে কখন আর কীভাবে কী করতে হবে তা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না এবং যা করছি তার উপর নিজেদের পুরো মনোযোগ স্থাপন করতে পারবো।

এইভাবে আমরা আমাদের কাজের জটিলতাকে উপভোগ করতে পারবো।

২) উদ্যোগ নেওয়া:

মানব প্রজাতির একটা বাজে অভ্যাসের হচ্ছে, আমরা এই আশায় থাকি যে অন্য কেউ এসে আমাদের কাজ করে দিবে।

কর্মক্ষেত্রের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মূল কারণের একটা হচ্ছে এই পরাধীনতা। এই অভ্যাস আমাদের উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্বকে দমিয়ে ফেলে কারণ আমরা জানি শেষে গিয়ে কেউ না কেউ এমনিতেই কাজটা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

কিন্তু এখন সেই ধারণা পাল্টানোর সময় হয়েছে। আমাদের সৃষ্ট প্রত্যেক আইডিয়া, আমাদের বানানো প্রত্যেক কনসেপ্ট, আমাদের মুখোমুখি হওয়া প্রত্যেক মতভেদ, প্রকাশ করা উচিত।

কারণ যখন আমার নিজের মনের ভাবনাকে সবার সামনে নিয়ে আসবো কেবল তখনই অন্যরা আমাদের ক্ষমতার ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারবে।

কোথাও অগ্রাধিকার পাবার জন্য প্রথমে আমাকে সেখানকার মানুষদের জানাতে হবে যে আমি অগ্রাধিকার পেতে ইচ্ছুক।

আপনি যে পরিবর্তন দেখতে চান নিজেই সেটা নিয়ে আসুন। নিজেই উদ্যোগ গ্রহণ করুন, মিটিংয়ে নেতৃত্ব দিন, সহকর্মীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলুন, বসের প্রসংশা করুন।

নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসুন কারণ একমাত্র সেভাবেই জানতে পারবেন যে সেটার বাইরে আপনার জীবনটা আরো বেশি আনন্দময়। এ ভাবেই কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসতে থাকবে।

৩) ইতিবাচক চিন্তা করুন:

আমরা প্রায়শই এই পয়েন্টকে ভুলভাবে গ্রহণ করে অতিরিক্ত পরিমাণ পজেটিভিটি নিয়ে প্রত্যেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবার চেষ্টা করি। কর্মক্ষেত্রে সফল হবার জন্য সমসময় ইতিবাচক হওয়া জরুরী।

ডেডলাইন মিস করতে থাকা বা টানা এক সপ্তাহ দেরি করে অফিসে আসার মধ্যে পজেটিভ কিছুই নেই। নিজের ভুলত্রুটির মুখোমুখি হবার মাঝে পজেটিভিটি অন্তর্নিহিত থাকে।

আপনাকে যে নিজের কাজের প্রতি আরো গুরুত্ব দিতে হবে এই বিষয়টা মেনে নিন এবং পজেটিভিটির সাথে সেটার মুখোমুখি হন।

সেটা করার কার্যকারী পদ্ধতি খুঁজে বের করাই হচ্ছে প্রকৃত পজেটিভ থিংকিং। নিজের যোগ্যতার ব্যাপারে পজেটিভ থাকুন ও নিজেকে যেটার পাপ্য মনে করেন সেটা অর্জনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান।

কেউ আমার যথেষ্ট কদর করে না বা আমার যথেষ্ট যোগ্যতা নেই ভেবে নিজেকে নেগেটিভির মাঝে ডুবিয়ে দিলে কোনো লাভ হবে না বরং ব্যর্থতার সাগরে আপনি আরো বেশি ডুবতে থাকবেন।

আমাদের ভাবনা আমাদের কার্যক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। কঠিন পরিস্থিতিতে যদি ভাবি যে আমি সফল হবোই তাহলে সফল হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

আবার যদি ভাবি যে ব্যর্থ হবো তাহলে বরং উল্টোটা ঘটবে। তাই নিজেকে সেই প্রমোশনটা পাবার অযোগ্য না ভেবে বরং ভাবুন আপনিই সেটা পাবার জন্য কোম্পানির সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি এবং জীবন আপনার চারপাশে সেভাবেই গড়ে উঠবে।

৪) না বলুন ও সাহায্য চান:

কর্মক্ষেত্রে সফল না হওয়ার আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে যে আমরা ‘অফিসের কমলা’ পদটা ছাড়তে পারি না।

সিনিয়রকে না বলতে পারি না বলে আমাদের ডেস্কে অনেক ফাইল জমে থাকে যেগুলো রাতের মধ্যে শেষ করতে হবে।

কিন্তু আমরা কীভাবে আমাদের সিনিয়রকে না বলতে পারি যারা আমাকে তাদের কাজটা করে দিতে বলেছে অথবা সামান্য একটা কফি আনতে বলেছে?

আমরা সরাসরি ‘না’ বলতে পারি! না বলার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই মুস্কিল কিন্তু একবার সেটা আয়ত্ত করতে পারলে পরিস্থিতি ভালোর দিক মোড় নেওয়া শুরু করবে।

তবে এর মানে এই না যে বস কোনো প্রোজেক্টর হেড হিসেবে আমাকে নিযুক্ত করতে চাইলে আমি না বলে দিব।

শুধু তখনি না বলতে হবে যখন আপনাকে এমন একটা কাজ করতে বলা হবে যেটা আপনি আসলেই করে উঠতে পারবেন না।

এর অর্থ হচ্ছে অন্যের সামান্য লাভের অন্য নিজের ক্ষতি না করা। কোনো এক সময় নিজের লোক দেখানো ‘ইগো’ কে মুক্তি দিতে হবে যেটা আমাদের অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত রাখে।

সাহায্য লাগলে আমাকে সেটা চাইতে হবে, ব্যাস এটুকুই। কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতা অনুভব করার জন্য নিজের মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশের ক্ষমতা রাখতে হবে।

অবরোধ বা দম বন্ধ হয়ে আসার যে অনুভুতি আমরা অনুভব করি তার পিছে দায়ী, ঠিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে না পারাটা। তাই যা বলতে যান বলুন, কেউ না কেউ সবসময় কান পেতে থাকবে।

৫) কী নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন তা ঠিক করুন:

আপনার সহকর্মী মুস্কিল সময়ের মাঝে দিয়ে যাচ্ছে তাই আপনি বুঝতে পারছেন না তার সাথে কীভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।

আপনার বসের দিনটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না, তাই তার কিছু আদেশ যে আপনি বুঝতে পারেননি তা তুলে ধরা উচিত হবে কি না সে ব্যাপারে আপনি নিশ্চত না।

এগুলো সেই ধরণের স্ট্রেস যার আপনার কোনো প্রয়োজন নেই। কীভাবে নিজের প্রেজেন্টেশনকে ভালো করবেন, কীভাবে নিজের স্বপ্নের ডিলকে হাতিয়ে নিবেন, এসব ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হোন।

কখনো কখনো আমরা জীবনে সহজ বিষয় নিয়ে এতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি যে আমরা এটা ভুলেই যাই যে তাদের সমাধানও সমানভাবে সহজ।

তাই পরের বার যখন নিজেকে উদ্বিগ্ন অবস্থায় আবিষ্কার করবেন, নিজেকে প্রশ্ন করুন, “এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে কী কোনো লাভ আছে?” যে বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তা যদি আপনার কোনো কাজে না আসে তাহলে স্পষ্টতই সেটা আপনার সময়ের যোগ্য না।

৬) মন খোলা রাখুন ও শ্রদ্ধাশীল হোন:

নিজের ভালোর জন্য কাজ করা ও স্ব-কেন্দ্রিক হয়ে থাকার মাঝে বিশাল এক তফাৎ আছে। যে ব্যক্তি নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংগ্রাম করে সে অন্যের লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বহন করে।

আমাদের একটা খোলা মনের অধিকারী হতে হবে। অন্যদের তাই দিতে হবে যা আমরা অন্যদের থেকে প্রত্যাশা করি। তাই যদি আমরা অন্যের শ্রদ্ধা অর্জন করতে চাই তাহলে অন্যদের শ্রদ্ধা করা শিখতে হবে।

তাছাড়া যদি আমরা অন্যদের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করি তাহলে আমাদের নিজেদের ধারণাও উন্নত হতে থাকবে।

সবার কিছু না কিছু দেওয়ার আছে, আমাদের সেটা দেখার জন্য দৃষ্টি ও গ্রহণের জন্য একটা কোমল হৃদয় গড়ে তুলতে হবে।

৭) বিরতি নিন:

নিত্য পরিবর্তনশীল ও ভোগবাদ প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে ‘কাজ পাগল’ হওয়াকে অনেকে এচিভমেন্ট হিসেবে দেখে থাকে। এটাই একটা প্রমাণ যে ভোগবাদ বা কনজ্যুমারিজম শুধু ক্রেতাদেরই না বরং উৎপাদকদেরও প্রভাবিত করছে।

অফিসে যারা বেশি সময় কাজ করছে তাদের তারিফ করতে গিয়ে, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যে বাজে অবস্থা হচ্ছে তার দিকে আমরা নজরও দিই না।

বিরতি ও ছুটি এই জন্য দেওয়া হয়ে থাকে কারণ কর্মজীবনে সেটার প্রয়োজন আছে। সেটা শুধু আমাদের প্রকৃতস্থই রাখে না বরং সেটা আমাদের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর সবচেয়ে সুস্থ ও কার্যকারী পদ্ধতি।

মস্তিস্কের ক্রিয়েটিভ কার্যাবলী বজাই রাখার জন্য সেটাকে রিচার্জ হবার সুযোগ দিতে হবে। যদি আপনি বিরতি ছাড়া কাজ করতে সক্ষমও হোন, তাহলে সেটা করা কি আপনার মূল্যবোধ ও সম্পর্কের চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

যতোসম্ভব সেগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্যই আপনি অতো পরিশ্রম করা শুরু করেছিলেন।

তাই ৫ মিনিটের ব্রেক নিন এবং এই সময়ে আপনার আপনজনের খোঁজ নিতে পারেন, গরম কফির মগ হাতে তুলে নিতে পারেন, পাশের লোকটা কেমন আছে তা জিজ্ঞেস করতে পারেন।

যদি কাজ করে করে বিরক্ত না হয়ে উঠতে চান তাহলে এই মজার ব্রেক গুলোকে উপভোগ করতে শিখুন। নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করুন এবং তারপর নিজেকে সেটার জন্য পুরস্কৃত করুন।

৮) নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করুন:

নিজের ক্যারিয়ারকে সফল করে তোলার জন্য এই কাজটা আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। শুধু কাজ করে যাবেন না, নিজের কাজের রেকর্ডও রাখুন।

একটা সময়সীমা ঠিক করে সেটার শেষে নিজের কার্যকারিতাকে মূল্যায়ন করতে হবে। যদি মূল্যায়নের ফলাফল সন্তোষজনক না হয় তাহলে ভয় পাবেন না।

সেটাকে পজেটিভিলি গ্রহণ করুন এবং পরের বার আরো ভালো করার চেষ্টা করুন। কাজটা ‘আপনি’ করছেন এই বলে সেটাকে বাড়িয়ে চড়িয়ে মূল্যায়ন করতে যাবেন না।

যদি নিজের কাজের মূল্যায়নের সময় সৎ থাকতে পারেন তাহলে এমন কিছুই নেই যা আপনি অর্জন করতে পারেবন না।

মানুষ অনেক সময় নিজের সক্ষমতার ব্যাপারে অজ্ঞ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিয়মিত নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন এবং ফলাফলের প্রতি গুরুত্ব দেন।

৯) সংগতিপূর্ণ হোন:

এটা আরেকটা মৌলিক ফ্যাক্টর যা আমাদের জীবনকে ভালো করে তুলতে পারে। বেশিভাগ মানুষ তাদের কাজের প্রতি উদাসীন কারণ তারা আগেই হার মেনে নিয়েছে।

তারা নিজেদের উন্নতির পরোয়া করে না কারণ তারা প্রসংসিত হবার শিহরণ ও সংগতি হারিয়ে ফেলেছে। সেই জেদী সংকল্পকে কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন এবং যাদু দেখতে থাকুন।

কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে সব দিন এক যাবে না। আমরা পথে বোরিং এসাইনমেন্ট পাবো, কোনো কোনো দিন হয়তো কেউ আমাদের প্রশংসা করবে না বরং কঠোর সমালোচনা শিকার হতে হবে।

কিন্ত যদি এসব পার করতে পারি তাহলে আমরা পথের শেষ প্রান্তে আমাদের স্বপ্নকে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাবো।

১০) নিজের কাজের প্রেমে পড়ুন:

যখন মিডলাইফ ক্রাইসিসের মাঝে দিয়ে যাবেন তখন আপনার উচিত আবার প্রেমে পড়া। নিজের কাজের!

নিজের ক্রিয়েটিভিটি ও পটেনশিয়ালকে ভালোবাসুন। আপনার কাজের মাধ্যমে সমাজ ও বিশ্বের যে সেবা করছেন সেটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোক।

জীবনের এক তৃতীয়াংশ জুড়ে যে কাজটা করতে চলেছেন সেটার প্রেমে পড়ুন।

Love what you do and so what you love!

একটা অভ্যাস গড়ে তুলতে মাত্র ২১ দিন লাগে। মাত্র ২১ দিন এবং আপনার জীবন এমনভাবে পালটে যাবে যে আপনি আর সেটাকে পালটাতে চাইবেন না।

তাই লিখাটা আরেকবার পড়ে দেখুন। বেশি দেরি হয়ে গেছে বলে যেমন কিছু নেই তেমনি বেশি সুখ বলেও কিছু নেই।

মহাকালের হিসাবে খুব ক্ষুদ্র আমাদের পার্থিব জীবনের স্থায়িত্ব, তবুও সেটার একটা ভাগকে আমরা বর্ণাঢ্য কর্মময় হিসেবে গড়ে তুলতে পারি এবং কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারি।

Don't Miss!

Lumyea Hossain
Lumyea Hossain
আমি লামীয়া হোসেন, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। যদি আমার একক শব্দে আমার স্বতন্ত্রতা বর্ণনা করতে হয় তবে আমি বলতে পারি যে আমি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। আমি সকল বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

সিভিতে রেফারেন্স লেখার বিস্তারিত নিয়ম!

আপনি যদি একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট হন তাহলে এই আর্টিকেল পুরোটাই পড়া উচিত। কারণ সিভিতে রেফারেন্স নিয়ে এতো সহজ ও তথ্য বহুল লেখা খুব কম...

সিভি ও রিজিউম এর মধ্যে পার্থক্য কী?

আপনি যখন জীবনের প্রথম চাকরির জন্য আবেদন করবেন তখন একটু হলেও ভয় নিশ্চয় পাবেন। চাকরি প্রার্থীদের মনে এই প্রশ্নটা জাগতে পারে যে আবেদনের সময়...

প্রফেশনাল ইমেইল লেখার A to Z নিয়ম কানুন

সঠিক ভাবে প্রফেশনাল ইমেইল লেখা কেন জরুরী? আপনার এই আর্টিকেলে ক্লিক করা উচিত হয়নি। কারণ সঠিকভাবে প্রফেশনাল ইমেইল লিখা খুব কঠিন একটা কাজ যা...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.