কেন আপনাকে চাকরি খোঁজার উপায় পরিবর্তন করতে হবে?
মাঝে মাঝে মনে হয় পুরো বিশ্বটা কোনো এক মহাপ্রলয়ের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে মনে হয় এটা কেবলই একটা দুঃস্বপ্ন। সবাই নিজের জীবনের জন্য উদ্বিগ্ন, চিন্তিত এবং ভীত। কোভিড-১৯ এর বিধ্বংসী প্রভাব থেকে বিশ্ব অর্থনীতিও ছাড় পায়নি।
আপনাদের সামনে একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) একটি প্রতিবেদনে বলছে যে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে প্রায় ২০-৪০ কোটি মানুষ তাদের পূর্ণকালীন চাকরি হারাতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরবর্তী বিশ্বে চাকরীর বাজারে এগিয়ে থাকার সেরা ৮ টি স্কিল
এতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় চাকরি হারাতে যাচ্ছে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ। বাংলাদেশও এর প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি। ১ জুন প্রকাশিত; ব্র্যাক , ডেটা সেন্স ও উন্নয়ন সমন্বয়-এর এক যৌথ সমীক্ষা ও জরীপে দেখে গেছে যে, চলমান মহামারীর
কারনে বাংলাদেশের ৭৪% পরিবারের উপার্জন কমে গেছে এবং ৩৪.৮% পরিবারের কমপক্ষে ১ জন সদস্য চাকরি হারিয়েছে। এছাড়াও ১৪ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন পরিস্থিতি কতটা খারাপ।
লাখ লাখ মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছে, জীবন যাত্রার মান কমে আসছে। যারা চাকরী হারাচ্ছে তারা চাকরী খোঁজার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফলে চাকরীর বাজারে প্রতিযোগিতা আরো বেড়ে যাচ্ছে। তাই, কোনো শক্তিশালী কৌশল অবলম্বন না করতে পারলে এই মহামারিকালে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এ সময় বেশিভাগ মানুষ মুভি, টিভি সিরিজ দেখে সময় কাটাচ্ছে বা গেম খেলছে। আমরা বলছি না আপনার সেসব করা উচিত না, তবে আপনাকে মহামারি পূর্ববর্তী বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। “Youthrider” ব্লগের ফলোয়ার হিসেবে, আমরা চাই আপনি পরবর্তী যুগের জন্য প্রস্তত হয়ে উঠুন।
তাহলে চলুন, মহামারিকালে চাকরি খোঁজার উপায় সাথে কিছু কৌশলের সাথে আপনার পরিচয় করিয়ে দিই:—
১) চাকরির প্রয়োজনীয়তা:
চাকরীর ওয়েবসাইটে ব্রাউজিং শুরু করার আগে, নিজের জন্য চাকরির প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ভাবুন। মানে আপনার নতুন চাকরীর আদৌ প্রয়োজন আছে কি না।
যেমন, যদি আগে থেকেই কোথাও কর্মরত থাকেন তাহলে সেখানে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করা নিয়ে ভাবা উচিত। যদি আপনি কোথাও চাকরীতে নিযুক্ত থাকেন, তাহলে সেখানে সৃষ্ট সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আপনার টাকার থলে আরো ভাবী হবে।
তাই আপনার সেটাকেই আঁকড়ে ধরে থাকা উচিত। বর্তমানে চাকরীর বড্ড অভাব। তাই যদি স্বপ্নের চাকরী পর্যন্ত নাও পৌঁছাতে পারেন, যে সুযোগ পেয়েছেন সেটাকেই গ্রহণ করুন।
অবশ্যই পড়ুনঃ সিভি ও রিজিউম এর মধ্যে পার্থক্য কী?
এটা অস্থায়ী পরিস্থিতি এবং ঈশ্বর চাইলে একসময় সব ভালো হয়ে উঠবে। তাই আস্থা রাখুন।
২) অনলাইন নেটওয়ার্কিং শক্তিশালী করে তোলা:
চাকরি খোঁজার উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। নিজের নেটওয়ার্কিং টুল হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে চাইলেও আপনি সবার সাথে ঘনঘন দেখা করতে পারবেন না। তাই এই মহামারিকালে চাকরী খুঁজে পাবার জন্য সবচেয়ে সহজ ও সস্তা পদ্ধতিটা ব্যবহার করুন।
পেশাদার লোকেদের সাথে অনলাইনে কানেক্টেড হয়ে উঠুন। নিয়মিত চ্যাট গ্রুপে যোগ দিন। এর মাধ্যমে, বর্তমান চাকরীর বাজার সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং বাজারে কোন দক্ষতা বা যোগ্যতার বেশি চাহিদা তা জানতে পারবেন।
এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। অন্যদিকে, পরিচিত লোকেদের জানিয়ে রাখুন যে আপনি চাকরী খুঁজছেন। এ ব্যাপারে আপনার পরিবার, বন্ধু বা এমনকি প্রাক্তন সহকর্মীদেরও জানাতে পারেন। ফলস্বরূপ, যথাযথ চাকরীর খোঁজ পেলে তারা আপনাকে অবশ্যই জানাবে।
৩) নতুন দক্ষতা আয়ত্ত করা:
শেখার কোনো শেষ নেই, শুধু প্রয়োজন ইচ্ছা এবং সময়। মহামারির ফলে এখন আমাদের হাতে অঢেল সময়, প্রয়োজন শুধু ইচ্ছেশক্তির। তাই নতুন কিছু শেখার এটাই হয়তো সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময় বসে না থাকে নতুন দক্ষতা শেখার জন্য অনলাইনে কিছু প্রফেশনাল কোর্স করতে পারেন।
এটা আপনাকে মার্কেটের চাহিদার সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। মহামারি পরবর্তী যুগে, যারা অনিশ্চয়তার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে তারা বেশি লাভবান হবে। Coursera, edx, udemy, skillshare, LinkedIn Learning এর মতো কিছু বিখ্যাত প্লাটফর্মে আপনি অনলাইন কোর্স করতে পারেন।
তারা বিভিন্ন ও বিস্তৃত সংখ্যক বিষয়ের উপর কোর্স অফার করে থাকে। রিজুমের মান বানানোর জন্য, নিজের পছন্দমতো যেকোনো কোর্স বেছে নিতে পারেন।
৪) ইন্টারনেটে এক্টিভ থাকা:
আমি জানি আপনাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা হয়তো ভার্চুয়াল দুনিয়াকে বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করে না, আসলে আমি নিজেও সেটা পছন্দ করি না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। এইবার তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য পুরো বিশ্ব ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করছে।
তাই, যতটা পারেন ইন্টারনেটে এক্টিভ থাকুন। কারণ শত শত চাকরী প্রত্যাশী কেবল একটা সুযোগর জন্য ইন্টারনেটে অপেক্ষা করে আছে। যদি আপনি যথেষ্ট এক্টিভ না থাকেন, তাহলে সোনার হরিণটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
জব সাইটে নিজের অ্যাকাউন্টে জব অ্যালার্ট সৃষ্টি করা নিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান তাদের ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইনের মতো সোস্যাল মিডিয়াতে খুঁজে বের করুন ও তাদের ফলো করুন।
তাদের পেজের নোটিফিকেশন অ্যালার্ট অপসান চালু করে দিন। এর মাধ্যমে তারা যখনই কিছু পোষ্ট করবে আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে। এভাবে তাদের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্রান্ত খবর আপনি পেয়ে যাবেন। চাকরি খোঁজার উপায় উপায় গুলোর মধ্যে এটিও অতিব জরুরী।
৫) প্রযুক্তিগত জ্ঞান –
সবাই এটা মানবে যে প্রযুক্তি আমাদের জীবনে আমূল-পরিবর্তন এনেছে। মহামারির পূর্বে উন্নত প্রযুক্তির গুরুত্ব কখনোই এতো জরুরীভাবে অনুভূত হয়নি।
এখন সব কোম্পানি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে অবগত হয়ে উঠছে। চাকরি খোঁজার উপায় গুলো খুজতে গেলে এটি সবার আগে দরকার। অনেক বিশেষজ্ঞ এমনটাই দাবি করেন বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে।
লকডাউনের পর জীবন থমকে গেলেও প্রযুক্তির কল্যানে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা গুলো লাভবান হতে পেরেছে। আপনাকে একটা উদাহরণ দিই, স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রমকে অনলাইনে নিয়ে গেছে।
এখন যেসব শিক্ষক এসব প্রযুক্তির ব্যাপারে জানে না তারা বিপাকে পড়েছে কিন্তু যারা জানে তাদের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে।
এখন বেশিরভাগ কোম্পানি প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পূর্ণ ব্যক্তিদের খুঁজছে। তাই, কোনো চাকরীর জন্য আবেদন করার আগে অন্তত প্রাথমিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান রাখতে হবে।
ভার্চুয়াল যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এমন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। ভালো প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকলে এই মহামারিতে চাকরি খোঁজা কিছুটা সহজ হয়ে উঠবে।
৬) কাস্টমাইজড এপ্লিকেশন-
প্রত্যেক চাকরীর জন্য একই রিজুমে পাঠানোটা বিশাল এক ভুল। এটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বিশেষত এই মহামারিকালে, একটা ছোট্ট ভুলের জন্যও আপনাকে ভুগতে হতে পারে। প্রত্যেক চাকরীতে প্রার্থীদের থেকে আলাদা কিছু চাওয়া হয়।
তাই, যে পদের জন্য আবেদন করছেন সে পদ অনুযায়ী নিজের সিভিকে কাস্টমাইজ করুন। নিজের আগ্রহ, সামাজিক দক্ষতা, শখ, ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ— চাকরী অনুযায়ী এসবে পরিবর্তন আনুন।
প্রত্যেক চাকরীর আবেদনের জন্য আলাদা আলাদা রিজুমে প্রস্তুত করাই বেশি ভালো। সময় নিন এবং চাকরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কী কী চেয়েছে তা ভালো করে পড়ে দেখুন।
সেসব তথ্যকে মাথায় রেখে, নিজের কভার লেটার ও রিজুমে প্রস্তুত করুন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হবার আগে থেকেই চাকরীর বাজারে তুমুল প্রতিযোগিতা ছিল, এবং এখন সেটা এই দশকের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।
৭) পারিশ্রমিকের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া:
জানি মহামারীর মধ্যে চাকরী খুঁজে পাওয়াটা সহজ না। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা মানুষেরা ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। পারিশ্রমিক হিসেবে যা পাওয়া উচিত যোগ্য পার্থীরা তার চাইতে অনেক কম পাচ্ছে।
তারা এ পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা পরিবারের মূল উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই পরিবারের উপার্জনের চাকা সচল রাখার জন্য তারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না।
এই মহামারির সময়ে সবাই যখন চাকরী হারাচ্ছে, তখন একটা চাকরীর মূল্য অনেক।
কিন্তু আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনার যোগ্যতার তুলনায় সঠিক পারিশ্রমিক দিবে না এমন কোনো চাকরীর প্রস্তাব গ্রহণ করার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না যার জন্য আপনাকে পরে পস্তাতে হতে পারে।
৮) ভার্চুয়ালি প্রস্তুত থাকা:
মহামারি শুরুর আগে থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ইন্টারভিউ নিয়ে আসছিল, এখন সেটা আরো বেড়ে গেছে। বর্তমানে বেশিভাগ ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে ৷
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া সহজও না, নিরাপদও না। তাই বর্তমানে বেশিভাগ নিয়োগকর্তা অনলাইনে অর্থাৎ ভার্চুয়ালি ইন্টারভিউ নিচ্ছে।
একাজে তারা ফেসবুক, স্কাইপ, ইমো, গুগল টিমস কিংবা আরো বিভিন্ন ধরণের ভিডিও কলিং অ্যাপ ব্যবহার করছে। কিন্ত আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এধরণের ইন্টারভিউ সামলানোর জন্য প্রস্তুত না।
সেক্ষেত্রে, আপনাদের উচিত এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা।
প্রথমে এসব অ্যাপ কীভাবে কাজ করে তা জানতে হবে। সেটা খুব কঠিন না, কয়েকদিন ব্যাবহার করলেই তা বুঝে যাবেন। কিন্তু অনলাইনে ক্যামেরার সামনে এসে ঠিকভাবে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
এটা করতে পারবেন অনুশীলনের মাধ্যমে। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে অনুশীলন করুন। ভার্চুয়ালি তাদেরকে আপনার ইন্টারভিউ নিতে বলুন। বিশ্বাস করুন, এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
কয়েকবার অনুশীলন করলেই আপনার ভয় কেটে যাবে। যখন আসল ইন্টারভিউয়ের সময় আসবে, আপনি নিজেকে সেটার জন্য একেবারে প্রস্তুত আবিষ্কার করবেন।
৯) ভবিষ্যতের সিঁড়ি গোড়ে তোলা:
আমরা যে দুঃস্বপ্নের মাঝ দিয়ে যাচ্ছি তা আমাদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাইরে। তাই, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন।
বরং, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তা নিয়ে ভাবুন। যেমন আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা। আগে হোক বা পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবেই।
অলস হয়ে বসে না থেকে বর্তমানে যে সময়টা পেয়েছেন সেটাকে কাজে লাগান। যাতে করে, অর্থনৈতিক মান্দা শেষ হলে, আপনি দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে পারেন। সেটা করার জন্য একটা পরিকল্পনা গড়ে তুলুন।
একটা লক্ষ্য স্থির করুন এবং সেই লক্ষ্য পৌঁছানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। নিজেকে আরো যোগ্য করে তোলার জন্য আর কী কী করা যায় তা নিয়ে ভাবুন।
জীবনে কেউ আপনাকে পথ গড়ে দিবে না, নিজেকেই নিজের পথ সৃষ্টি করে নিতে হবে। ভবিষ্যতে হয়তো এরকম সমস্যা আরো আসবে, আবারো বিশ্ব থমকে যাবে কিন্তু নিজে থেমে গেলে চলবে না, সবসময় এগিয়ে যেতে হবে।
শুধু আমি এবং আপনি না, পুরো বিশ্ব খারাপ সময় পার করছে। একটা বিখ্যাত প্রবাদ আছে, “একতায় উত্থান, বিভেদে পতন”।
যতদিন আমরা একে অপরেকে সাহায্য করব ততোদিন আমরা শক্তিশালী হয়ে থাকতে পারব। তাই সময় হয়েছে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর, অন্যকে সাহায্য করার।
এই মহামারির মধ্যে নিজেকে ও নিজ পরিবারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যারা প্রতিনিয়ত চাকরী খোঁজার চেষ্টা করছে, তাদের হয়তো এই আর্টিকেল কাজে দিবে।
তাই মানুষের সাথে এই আর্টিকেল শেয়ার করুন। দোয়া করি মুস্কিলের সাথে লড়ার শক্তি ঈশ্বর আপনকে দিবেন। আশা করি চাকরি খোঁজার উপায় সমূহ চাকরীর বাজারে এগিয়ে রাখতে অনেক সাহায্য করবে।
“Youthrider” ব্লগের সাথে থাকুন, সাফল্য অর্জনের পথে এগিয়ে চলুন।
Great article